

আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বিরচিত ও কবি আব্দুল হাই শিকদার সম্পাদিত ‘মাও সে-তুঙ এর দেশে’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয় । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, গবেষক নাজমুল হক নান্নু, প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম, কবি আবদুল হাই শিকদার, প্রফেসর ইফতেখারুল আলম মাসুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান প্রমুখ। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক সচিব সালেহ মাহমুদ রিয়াদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট কালচারাল ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির বেপারি।
অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীনদের শোষণ আর লুণ্ঠনে দেশে দুঃসহ এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এই অবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সাদামাটাভাবে যেটা বুঝি, এখন দুঃসময়, যা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। অস্বাভাবিক, দুঃসহ একটা যন্ত্রণা এখন বাংলাদেশে। এরকম যন্ত্রণা থেকে মানুষ মুক্তি চায়। আমাদের মুক্তির একটি মাত্র পথ আছে সামনে খোলা। মওলানা ভাসানী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ বাংলাদেশ সৃষ্টিতে যাদের অবদান আছে তাদের স্মরণ করে, তাদের পথে গিয়ে একটা ঘটনা ঘটাতে হবে। চীনের মতো একটা বিপ্লব আমাদের গড়ে তুলতে হবে। তাতে হয়তো সমস্ত মানুষের মুক্তির পথ হবে না, কিন্তু জাতীয় মুক্তির পথ তৈরি করা হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে শোষণ ছাড়া কিছু নেই। প্রতিটা ক্ষেত্রে শোষণ আর লুণ্ঠন। এই শোষণ দূর ও দেশটাকে বাসযোগ্য করতে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের মুক্তির পথ খুঁজে বের করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আমাদের আজ মুক্তির পথটাকে খুঁজে বের করতে হবে। প্রথম যে দরকারটা, সেটা হচ্ছে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই অধিকার আমরা পরিস্কার করতে চাই। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। সেই নির্বাচনে যদি যেতে চাই, তাহলে সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন দরকার।
‘আজকে পাকিস্তানের এত টালমাটাল অবস্থা, তারপরও ওখানে নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। বিচারপতিকে সেখানে কী করা হলো, এ বিষয়গুলোকে যদি না ধারণ করি, না বুঝি তাহলে আমাদের মুক্তি হবে না,’- বলেন মির্জা ফখরুল।
নয়াদিন/নিজস্ব প্রতিবেদক