ইটভাটা শ্রমিক পরিবারের শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের জন্য উদ্বোধন করা হলো খণ্ডকালীন "বর্ণমালা বিদ্যালয়"

ইটভাটা শ্রমিক পরিবারের প্রায় দেড় শতাধিক  শিক্ষা বঞ্চিত শিশু সন্তানদের জন্য উদ্বোধন করা হলো খণ্ডকালীন অনানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম "বর্ণমালা বিদ্যালয়"। দোহার-নবাবগঞ্জের বেশ কয়েকজন উদ্যোমী তরুণ এই সেবামূলক উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচক বৃন্দ বলেন; টেকসই উন্নয়নের প্রথম শর্ত হচ্ছে শিক্ষিত সমাজ ব্যবস্থা। দেশের একটি উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে কোন ভাবেই দেশকে উন্নত করা সম্ভব নয়। দেশের সকল প্রান্তে সকল সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে। প্রতিবছর ইটভাটা শ্রমিকরা ডিসেম্বর-মার্চ এই সময়ের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজ করতে পরিবার সহ চলে আসে বিভিন্ন ইটভাটায়। পরিবারগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজের জন্য অস্থায়ীভাবে ছুটে চলার কারণে তাদের শিশুরা প্রচলিত শিক্ষা গ্রহন থেকে বঞ্চিত হয়। ধারণা করা হয় সারাদেশে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত প্রায় লাখের কাছাকাছি ইটভাটা রয়েছে এবং সেখানে আনুমানিক বিশ লাখের মতো শ্রমিকদের শিশু সন্তান রয়েছে যারা প্রচলিত শিক্ষা গ্রহন করতে পারছেনা। শুধু ইটভাটা শ্রমিকদের শিশু সন্তানদের জন্য নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানদের জন্য অনানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষার জন্য এজাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে বলে মত প্রকাশ করেন অতিথি বৃন্দ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজ সেবক জাহিদুর রহমান, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ, প্রধান আলোক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: জসিম উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার সরকারি পদ্মা কলেজের প্রভাষক মো : আলমগীর হোসেন ও মো: মাসুদ রানা, আরও উপস্থিত ছিলেন বর্ণমালা বিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী  মো. জামান,  সমন্ময়ক সোহাগ হোসাঈন আবদুল হান্নান, বর্ণমালা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সদস্য আল রাজিব হোসেন সহ অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বর্ণমালা বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজীব শরীফ। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।উল্লেখ্য "বর্ণমালা বিদ্যালয়" গত সাত বছর যাবত ডিসেম্বর-মার্চ সময়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।