

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সীমান্তনদী যাদুকাটা'য় টাস্কফাের্সের অভিযানে খনিজ বালুভর্তি ১৮টি বাল্কহেড জব্দের পর উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাে. রায়হান কবির-এর নেতৃত্বে নদী তীরবর্তী ঘাগড়া-গড়কাটি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, বেলা তিনটার দিকে শুরু হওয়া অভিযানে জব্দকৃত বালি পাথর উন্মুক্ত নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেষ হয় রাত ১০টার দিকে। এসময় জব্দকৃত বাল্কহেড ভর্তি ৪৫ হাজার ঘনফুট বালু উন্মুক্ত নিলামে প্রতি ঘনফুট ১৯ টাকা ৫০ পয়সায় সর্বােচ্চ দরদাতার কাছে আয়কর, ভ্যাটসহ ১০ লাখ নয় হাজার একশ পচিঁশ টাকায় বিক্রি করা হয়। একইসময়ে অবৈধভাবে খনিজ বালু পরিবহনের দায়ে ১৮টি বাল্কহেড নৌযানের মালিক পক্ষদ্বয়ের নিকট হতে সর্বমােট এক লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদন্ড জরিমানা আদায় করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাে. রায়হান কবির বলেন, মাননীয় জেলা প্রশাসক মহােদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম, তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার, পানি উন্নয়ন বোর্ড জেলা শাখার কর্মকর্তা রাকিব হাসান, লাউড়েরগড় বিওপি’র হাবিলদার মোহাম্মদ মাহবুব, বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে দায়িত্বভার গ্রহণের দ্বিতীয় কর্মদিবসে উপজেলার সীমান্তবর্তী পাটলাই নদীতে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে খনিজ বালুভর্তি দুটি বাল্কহেডসহ আনুমানিক ১৫ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করেন মাে. রায়হান কবির। পরে জব্দকৃত বাল্কহেড ও খনিজ বালু জরিমানাসহ প্রায় ৭ লাখ টাকায় উন্মুক্ত নিলামে বিক্রয় এবং অবৈধভাবে খনিজ বালু পরিবহনের দায়ে দুটি বাল্কহেড নৌযানের মালিক পক্ষদ্বয়ের নিকট হতে দেড়লাখ টাকা অর্থদন্ড জড়িমানা আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্মমান আদালত পরিচালনাকালে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার সহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।