

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত বৃহস্পতিবার থেকে নিয়ামতপুরে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসক। লকডাউনের পঞ্চম দিনেও স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে চলাচল করছে যানবাহন। সদরের প্রধান প্রধান সড়কে পুলিশের ট্রাফিক বক্স ছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছিল পুলিশের চেকপোস্ট-টহল।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বেশি থাকায় মানুষের উপস্থিতি কম ছিল। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের সড়ক ও বাজারগুলোয় মানুষ অবাধে চলাচল করছে। সচেতনার অভাবে গ্রামের মানুষের মধ্যে সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহারে উদসীনতা রয়েছে।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লকডাউনের এমন চিত্রই দেখা গেছে এদিন।করোনা রোধে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কাউকে উপজেলায় আসতে দেয়া হচ্ছে না।বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত কিছু ওষুধ ও মুদি দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দূরপাল্লার যানবাহন।সাধারণ মানুষের জীবনযাপনও অনেকটা নিয়ন্ত্রিত ভাবে চলছে। এছাড়া লকডাউনে বিভিন্ন অজুহাতে যেসব মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন তাদের পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।ফলে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা জনশূন্য রয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে যারা বেরিয়েছেন তারা সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করেছেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা জানান,মানুষকে সচেতন করার বিষয়ে কোনো ত্রুটি রাখা হচ্ছে না।আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই।লকডাউনের চতুর্থ দিনে উপজেলা পর্যায়ে লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। লকডাউনের বিধি-নিষেধ অমান্য করায় রবিবার সন্ধ্যায় ৬ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।তিনি আরোও জানান,তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনে মানুষ সরকারি আদেশ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।থানার অফিসার ইনর্চাজ হুমায়ূন কবির জানান, সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নে উপজেলার প্রবেশ পথে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কাউকে আসতে দেয়া হচ্ছে না।জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হলে তাদেরকে বাড়িতে ফেরত পাঠাচ্ছে পুলিশ। তবে জরুরি সেবা, পণ্যবাহী যানবহন ও আম পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিবহন অবাধে চলাচল করছে।