ইয়াসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাড়ে তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

  খুলনা জেলা সংবাদদাতা  মঙ্গলবার | জুন ১৫, ২০২১ | ১২:৪২ এএম

দেশের উপকূলে বয়ে যাওয়া গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ১৮৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন কোটি ৫৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কিছু প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। আর কিছু প্রতিষ্ঠানের দেওয়াল ধসে গেছে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানের মেঝে ভেঙে গেছে। চাল উড়ে আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ছয়টি জেলার ১২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বাগেরহাটে ৩০টি এবং পটুয়াখালীতে ২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ চরাঞ্চলের।

মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়।

তিনি বলেন, প্রতি বছর বিশেষ দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের একটি নির্ধারিত আর্থিক ফান্ড রয়েছে। সেখানে সংস্কার কাজের জন্য পর্যাপ্ত অর্থও রয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) কর্মকর্তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে কবলে চট্টগ্রাম বরিশাল ও খুলনা ডিভিশন এ মোট ৬২টি বিদ্যালয় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে প্রাথমিকভাবে এ তথ্য পাঠানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ অনুযায়ী প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

খুলনা বিভাগে বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিভাগে প্রায় চল্লিশটির বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় রয়েছে। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কোনটির মেঝে ভেঙে যাওয়া, দেওয়ালে ফাটল ধরা, ওয়াশরুম ও টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে যাওয়া, চেয়ার টেবিল আসবাবপত্র নষ্ট হওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি রয়েছে।

তারা জানান, প্রাথমিক তথ্যগুলো বর্তমানে মাঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।

জানতে চাইলে ডিপিই’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক নুরুল আমিন হক বলেন, ইয়াসে ক্ষতি হওয়া ৬২টি বিদ্যালয়ের তালিকা পেয়েছি। বর্তমানে সেটি যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছে। তবে বাংলাদেশের ইয়াসের প্রভাব তেমন না হওয়ায় কোথাও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি বিদ্যালয় গুলোর সংস্কারের জন্য আমাদের তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগামী অর্থবছর অর্থাৎ জুলাইয়ের শুরুতে অর্থছাড় দেয়া হবে। এরপরে সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে বলে জানান তিনি।