

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের চর আনন্দীপুর গ্রামের ১৫ বছরের কিশোরী গণধর্ষণের প্রধান আসামি পলাতক রাজিবকে (২৬) গ্রেফতার করেছে কোতুয়ালী মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী রাজিব চর খরিচা এলাকার রাজু মিয়ার পুত্র।
সোমবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা অনুমান ৬.০৫ ঘটিকায় কোতুয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফিরোজ তালুকদারের দিকনির্দেশনায় ইন্সপেক্টর অপারেশন ওয়াজেদ আলীর নেতৃত্বে থানার এস.আই মিনহাজ সহ কোতুয়ালী মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিমের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ১৩ই জুন রবিবার ঘটনার দ্বিতীয় এজাহারভুক্ত আসামও চর গোবিন্দপুর এলাকার সুরুজ আলীর পুত্র ফিরোজসহ (২৫) অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতুয়ালী মডেল থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন ওয়াজেদ আলী। পুলিশ জানায় ফিরোজ ঘটনার কথা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
কোতুয়ালী মডেল থানায় দায়ের কৃত মামলার লিখিত এজহারে জানা যায়- সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নে আনন্দীপুর গ্রামের নূর আলীর কন্যা নিলুফা আক্তার (১৫) গত ১১ই জুন শুক্রবার পাশ্ববর্তী তারাকান্দা উপজেলার বক্সীমুল এলাকায় তার নানার বাড়ীতে যাওয়ার পথে বড়বিলা পাড় মোড় হতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করে গ্রফতারকৃত আসামীরা। এই ঘটনায় গত ১৩ই জুন নিলুফা বাদী হয়ে কোতুয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে থানা ইন্সপেক্টর অপারেশন ওয়াজেদ আলী থানার এসআই মিনহাজ সহ কোতুয়ালী মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিমের সহযোগীতায়
ঘটনার তদন্তপুর্বক দ্রুতই আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এদিকে ১৩ তারিখে মামলা দায়ের করে ১৪তারিখের মধ্যেই আসামিদের গ্রেফতার করায় সন্তুষ্ট হয়ে কোতুয়ালী মডেল থানা পুলিশের দক্ষতার ব্যাপক প্রশংসা করেন ভিকটিম ও মামলার বাদী এবং তার পরিবারের সদস্যরা। একই সাথে এত দ্রুত গতিতে আসামি গ্রেফতারে ময়মনসিংহের সর্বমহলের মাঝে আলোচনার স্থান করে নিয়েছে স্থান করে নিয়েছেন ওসি অপারেশন ওয়াজেদ আলী তথা কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।