

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক এর সভাপতিত্বে এবং পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুনের সঞ্চালনায় আজ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কল্যাণ পার্টির নির্বাহী কমিটির মিটিং ও আলোচনা সভা।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, আপনার চারপাশে চাটুকাররা আপনাকে অন্ধ করে রেখেছেন। দয়া করে চোখ খুলে জনগণের মনের কথাটা বুঝুন। সুষ্ট নির্বাচনের পরিবেশ ব্যহত করবেন না। হামলা-মামলা, বন্ধ করুন। আবোল-তাবোল বলে জাতিকে ভুল বোঝানো উচিত না। দেশের মানুষকে এতো বোকা ভাববেন না। এই দেশ যুদ্ধ করে শত্রু মুক্ত করা হয়েছে সুতরাং এ দেশ নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব বলেন, দেশ ও দেশের মানুষকে স্থায়ী শান্তি দিতে হলে দরকার সুষ্ঠু ও টেকসই পরিকল্পনা ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে তার বাস্তবায়ন। সে লক্ষ্যে কল্যাণ পার্টি নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এর অন্যতম পূর্বশর্ত হল, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকীব বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। উনার উপর অযথা হয়রানী আমাদের জন্য লজ্জার। আন্তর্জাতিক মহলও ড. ইউনুসকে হয়রানীর নিন্দা জানাচ্ছে এটি পুরো বাংলাদেশের জন্য হতাশাজনক।
"বাংলাদেশ :পিসফুল ট্রান্সিশন অব পাওয়ার, প্রোবলেমস এন্ড প্রসপেক্টস" শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন বাহান্ন বছরেও আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর পন্থা প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। সর্বজন স্বীকৃত যেই কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তাও আজ বিলুপ্ত করা হয়েছে। স্বৈরাচারকে গদি থেকে সরাতে সবচাইতে বেশি গণআন্দোলনের প্রয়োজন হয়, আমরা আজ সেই কঠিন আন্দোলন সংগ্রামে আছি। আমরা অবশ্যই আন্দোলনে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন বাকশাল গঠনতন্ত্রের অনেক কিছুই শেখ মুজিব বাস্তবায়ন করে যেতে পারেনি তবে বিগত কয়েক বছরে তার কন্যা তার বেশীর ভাগই বাস্তবায়ন করে ফেলেছে। যদি এই সরকার কোনভাবে আবার ক্ষমতায় আসার সুযোগ পায় তাহলে সকল দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে একদলের রাজনীতি চিরস্থায়ী করবে। কিন্ত বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা তা হতে দিবো না। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলম। তিনি বলেন আমরা অনেকেই সমস্যাগুলো অনুধাবন করি কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক কথাগুলো আমরা তুলে ধরতে ভয় পাই বিধায় আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হই। আমাদের অধিকার সচেতন হতে হবে এবং নির্ভয়ে সত্য প্রকাশ করতে হবে, তবেই আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সমূহ ফিরে পাবো।আলোচনা সভায় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির ভুইয়া পিন্টু, অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস, মিসেস ফোরকান ইব্রাহীম, প্রফেসর আবদুল মান্নান, লেফন্যান্ট কমান্ডার ফয়সাল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদুর রহমান তামান্না, আলী হোসাইন ফরায়েজী, মাহমুদ খান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।