

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে ফের চরম হুমকির মুখে পড়েছে দেশের সব স্তরের শিক্ষা। ইতোমধ্যেই স্কুল-কলেজে ১৬ দিনের (৬ ফেব্রুয়ারি) জন্য বন্ধ দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সশরীরে ক্লাস। বন্ধ থাকবে পরীক্ষাও। তবে এ সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইন ক্লাস চলবে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় অনলাইন ক্লাস থেকে তেমন কার্যকর ফল আসে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে একই কারণে ২০২০ সালের মার্চে প্রথমে ১৫ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। পরে তা পর্যায়ক্রমে বাড়ানোর কারণে ৫৪১ দিনে গড়িয়েছিল। তখন শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের রেকর্ড ছিল না। আর এখন সংক্রমণ শুধু শিশুদের মধ্যেই নয়, বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে ছড়াচ্ছে। গত সপ্তাহেই বুয়েট ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শনিবার জাতীয়ভাবে ২৮ শতাংশের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্দেহভাজনদের মধ্যে ৭০ শতাংশের চিহ্নিত হয়েছে। আর করোনার আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হল ছাড়ার খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ছুটি শেষে ৭ ফেব্রুয়ারিতে স্কুল-কলেজের দ্বার খুলবে-এমন আশা অনেকেই দেখছেন না।
দেড় বছরের ছুটি কাটিয়ে মাত্র ৪ মাস আগে ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেড় বছরের ছুটিতে শিক্ষার অপরিমেয় ক্ষতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ সেশনজট। সরাসরি লেখাপড়া না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বয়সভিত্তিক জ্ঞানগত ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ঘরে আবদ্ধ থাকায় মানসিক আর শারীরিক ক্ষতিও হয়েছে। তাই নতুন করে ঘোষিত ছুটি আগের সব ক্ষতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে তাদের শঙ্কা।
বিশিষ্ট শিক্ষা বিশ্লেষক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কোনো বিকল্প ছিল না। কেননা ৫ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হলে স্কুল-কলেজ ছুটি দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা আছে। তাছাড়া শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের তথ্য আসছিল। তাই অন্য সব কিছু খোলা আছে, স্কুল বন্ধ কেন-এটা কোনো প্রশ্ন হতে পারে না। বরং প্রশ্ন হওয়া উচিত, সন্তানের মুখে মাস্ক থাকলেও অভিভাবকের মুখে নেই কেন। তিনি বলেন, ‘আমার আশঙ্কা হচ্ছে, এই ছুটি ১৬ দিনে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আরও প্রলম্বিত হবে। আর তেমনটি হলে শিক্ষায় সৃষ্ট ক্ষতি আরও বাড়বে। কিন্তু গত দুবছরের অভিজ্ঞতা আর বাস্তব তথ্য-উপাত্ত সামনে রেখে পরিকল্পনা করতে হবে। এতে জরুরি পরিস্থিতিতে যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব, সেই নীতি গ্রহণ সম্ভব হবে। তাই শিক্ষায় দুবছরে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটা আগে নিরূপণ করতে হবে। ঝরে পড়া, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম ইত্যাদি পরিসংখ্যান নির্মোহভাবে বের করতে হবে। এরপর শিক্ষা পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা করতে হবে। পাশাপাশি স্কুল বন্ধ থাকুক আর খোলা থাকুক, বিকল্প পাঠদান ও শিখন ব্যবস্থা কার্যকরভাবে চালু রাখতে হবে। এজন্য অ্যাসাইনমেন্ট-বাড়ির কাজ চালু রাখতে হবে। পাশাপাশি অনলাইনে কার্যক্রম চালাতে সরকার বিনা পয়সায় ইন্টারনেট ডেটা দিতে পারে। করপোরেট জগৎকে অন্তর্ভুক্ত করে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য ডিভাইসের ব্যবস্থা করতে পারে। টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। জাতিকে এগিয়ে নিতে এর কোনো বিকল্প নেই। এটা কঠিন কোনো কাজ নয়।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, এই ছুটির কারণে লেখাপড়ার পাশাপাশি আরও কিছু ক্ষতি হবে। কোভিড-১৯ মহামারিতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। জেলা পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ লক্ষ্যে কিছু স্কুল বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে না। এছাড়া করোনায় শিশুদের কী পরিমাণ শিখনঘাটতি হয়েছে, সেটিও নিরূপণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সেটিও বিঘ্নিত হবে। সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেবে নতুন শিক্ষাক্রম পরীক্ষামূলক (পাইলটিং) প্রয়োগের কাজে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ৬০টি স্কুলে এই কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে সেটি সম্ভব হবে না। করোনার কারণে এমনিতে নতুন শিক্ষাক্রম দুই বছর পিছিয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২১ সালে এটি পুরোপুরি প্রবর্তন হওয়ার কথা ছিল। এখন পাইলটিংয়ের ফল নিয়ে শিক্ষাক্রম তৈরি করে ২০২৩ সালে চালুর সিদ্ধান্ত আছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাভাবিকভাবে প্রতি ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা। করোনার কারণে এই পরীক্ষা ইতোমধ্যে মে-জুনে নেওয়ার ঘোষণা আছে। ইতোমধ্যে এসব শিক্ষার্থীর সিলেবাস ছোট করে প্রকাশ করা হয়েছে।
সেটির ওপর এখন ক্লাস চলছিল। আবার ছুটি ঘোষণা হলে এই পরীক্ষাও পেছাতে পারে।
সংক্রমণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার রাতে এই বিষয়ে কথা বলেন করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সহিদুল্লাহ। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সম্ভাবনা তিনি নাকচ করে দেন। কিন্তু এক রাতের মধ্যে পরিস্থিতি পালটে যায়। শুক্রবার স্কুল-কলেজ বন্ধসহ ছয় দফা নির্দেশনা আসে। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পরে শনিবার ১১ দফা নির্দেশনা জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির সিদ্ধান্তের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ সরাসরি ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে। আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর বুয়েট ১২ জানুয়ারিই সরাসরি ক্লাস বন্ধ করে অনলাইনে চলে যায়। একই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দিলেও শুক্রবার তারা পিছু হটে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো আবাসিক হল-হোস্টেল খোলা রেখেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে। যদিও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন স্নাতক কলেজ শুক্রবারই শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করে ফের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নেয়। এমন কলেজগুলোর মধ্যে আছে রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রাখার কোনো সুযোগ নেই। তাই তারা অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার নতুন পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। বিশেষ করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিশেষ যত্ন নেওয়া হবে। শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নেবেন। এই স্তরে সরকার নির্ধারিত সিলেবাস ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকিটা নির্ধারিত সময়ে শেষ করা হবে।
এদিকে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিতের বিরুদ্ধে নেমেছে ছাত্রছাত্রীদের একটি অংশ। এ নিয়ে শনিবার ঢাকা ও রাজশাহী থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজধানীর নীলক্ষেতে সকালে সড়ক অবরোধ করে তারা। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ঢাকার সাত সরকারি কলেজের ডিগি পরীক্ষা হঠাৎ স্থগিত করায় এই প্রতিবাদ তাদের। প্রায় আধা ঘণ্টা নীলক্ষেত মোড় অবরোধের পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন ইডেন মহিলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়রুল বাসারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক। শিক্ষকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অসমাপ্ত পরীক্ষাটি দ্রুত নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন এবং অবরোধ তুলে নিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। নিউমার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ স.ম. কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ পায়। এর মধ্যে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের চাপ আসে। ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। ওইদিন সংক্রমণের হার ছিল ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এরপর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে সচল হয়।
খোলা রাখার চেষ্টা হবে : এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন বন্ধ ঘোষণা করা হলেও শিগগিরই স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে প্রথমত ১২ বছরের ওপরের বয়সি সব শিক্ষার্থীকে দ্রুত টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে। ১২-১৭ বছর বয়সি ১ কোটি ১৭ লাখ শিক্ষার্থী আছে। তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বাকিদের টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা আছে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠান না খোলা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অনলাইনসহ বিকল্প পন্থায় পাঠদান করা হবে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে অনলাইন কার্যক্রম। আরেকটি টেলিভিশন ও বেতারে পাঠদান। এছাড়া অ্যাসাইনমেন্ট ও বাড়ির কাজও দেওয়া হবে। এগুলো তৈরির কাজ করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধকালে ১১ দফা করণীয় স্কুল-কলেজে পাঠিয়েছে মাউশি। এগুলো হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস যথারীতি চালু থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে দৈনন্দিন কার্যক্রম চালু থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ক্ষেত্রে মাউশির আঞ্চলিক অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন শ্রেণিকক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগারসহ প্রতিষ্ঠানের সব বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, পানি ও গ্যাস সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানের কাজে নিয়োজিত থাকবেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস বা ছাত্রীনিবাসে বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে, তাদের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত খোলা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মাউশির অধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীর অবশ্যই টিকা সনদ নিতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
সূ্ত্র: অনলাইন